সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার তিন গাও, ভদ্রাসন কুশিয়ারা এলাকার হাসমত আলীর পুত্র কথিত বিএনপি নেতা সুজনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মহানগর যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক পাতি নেতা সুজনের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা একই এলাকার ব্যবসায়ী নূর হোসেন। স্বৈরশাসক সরকারের পতনের পর থেকে কথিত বিএনপি নেতা সুজন মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নূর হোসেনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এবং প্রতিনিয়তই ব্লাক মেইলিংয়ের স্বীকার হচ্ছে এলাকার ইউপি মেম্বার সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গেলে ভোক্তভোগী নূর হোসেন বলেন,বংশগত ভাবে আমরা বিএনপি করি। আমি একজন বিএনপির একনিষ্ঠ সাপোর্টার , কিন্তু বিএনপির কোনো পদে নেই, পদের আাশাও করিনা। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসক সরকারের পতনের পর থেকে সুজন আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথম দফায় ছাপ্পান্ন হাজার টাকা নিয়েছে এবং পরবর্তীতে হত্যা মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। গত মাসের ৬ থেকে ৮ আগষ্ট সুজনের ভাই রাজু সহ আমাদের এলাকায় মামলার ভয় দেখিয়ে বন্দর ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজানের কাছ থেকে ১ লক্ষ এবং পরবর্তীতে এলাকার ব্যবসায়ীদের থেকে মোট ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
নূর হোসেন আরও বলেন, আমি দিশেহারা হয়ে মহানগর যুব দলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ভাইকে ঘটনার বিষয়টি জানালে।
পাতি নেতা সুজন আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, “আমি মাইট্টা সাপ,আপনি অজগর সাপের কাছে গেছেন। আরো বড় খরচ লাগবো।
এদিকে বিএনপি নেতা সুজন আমাকে ফাসানোর জন্য তার নিজ ঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে আগুন লাগানোর ফন্দি করেছেন। আমি ঘটনা জানলে সুজনের ঘর পাহারা দেই। কারন আমি যেন কোনে প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হই। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপু আমাকে ফোন কলে জানান, এর পর থেকে কোনোরুপ বারাবাড়ি চলবে না।আমি পরে কল করবো। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের আতঙ্কে দিন কাটছে।
এবিষয়ে থানা পুলিশের প্রসঙ্গ আসলে তিনি জানান তারা এখন রাম রাজত্ব কায়েম
করছেন থানায় অভিযোগ করলে যদি আরো বেশি সমস্যা হয় তাই অভিযোগ করা হয়নি।
বিষয়টি জানাতে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াতকে একাধিকবার কল করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।